পবিত্র কুরআন হাতে লিখে ব্যতিক্রমধর্মী এক রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন ইমতিয়াজ হায়দার। হাতে লেখা তার এ কুরআনের পাণ্ডুলিপি লম্বায় ৩ হাজার ১২৫ ফুট। কিলোমিটারের হিসেবে প্রায় ১.২৫ কিলোমিটার লম্বা।
বিশ্বব্যাপী পবিত্র কুরআন লিখে বিভিন্নভাবে কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন অনেক মানুষ। কেউ সুঁই-সুতোয়া, কেউ কাঠে খোদাই করে, কেউ ডিমের উপর, কেউ হাতের আঙুলের নখের উপর আবার কেউ ক্ষুদ্র চালের উপর কুরআন লিখেও রেকর্ড গড়েছেন। ইমতিয়াজ হায়দারের এ উদ্যোগ আসলেই ব্যতিক্রম।
পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে বসবাসকারী ইমতিয়াজ হায়দার পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা কুরআন মাজিদ হাতে লিখে সম্পন্ন করেছেন। তার এ অনবদ্য কাজের সংক্ষিপ্ত তথ্য হলো-
- পাণ্ডুলিপিটি লম্বায় : ৩হাজার ১২৫ ফুট বা ১.২৫ (সোয়া এক) কিলোমিটার।- পাণ্ডুলিপির ওজন : ১৫০ কেজি।- লেখার সময় : ১ বছর।- প্রতিদিন লিখতে হয়েছে : ৩০ ফুট।- লিখতে কলম লেগেছে : ৪০০।- অলংকরণে : ৪ রঙের ব্যবহার। কালো, লাল, নীল ও সাদা। আয়াতের রঙ কালো, লাল রঙয়ের টীকা, নীল রঙয়ের শিরোনাম এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা রঙয়ের।
উল্লেখ্য যে, ইমতিয়াজ হায়দারের আগেও লম্বা কুরআন শরিফ লেখা হয়েছিল। সেটি লম্বায় ছিল ২ হাজার ৩০০ ফুট। সেটি লিখেছিলেন মিসরের লেখক সাদ মুহাম্মাদ। সে রেকর্ড ভেঙে ইমতিয়াজ হায়দার ৩ হাজার ১২৫ ফুট লম্বা কুরআন মাজিদের পাণ্ডুলিপি লিখে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেন।
মিসরের সাদ মুহাম্মদের পর এখন গৌরবোজ্জ্বল এ রেকর্ডটির অধিকারী পাকিস্তানের ইমতিয়াজ হায়দার। মাত্র ১ বছরে পুরো কুরআন লেখা, সাজসজ্জা ও হরকত সংযোজনের এ অসামান্য কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ডেইলি পাকিস্তানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমতিয়াজ জানান- ‘এটি মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। তার একান্ত অনুগ্রহ ছাড়া এ মহান কাজ সম্পন্ন করার সামর্থ আমার আক্ষরিক অর্থেই ছিল না। আমি শুধুমাত্র আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করেছিলাম। আল্লাহর অশেষ কৃপায় বাকি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আল্লাহ অপার অনুগ্রহে এ উদ্যোগটি সম্পন্ন করার পর হৃদয়ে যে অপার্থিব অনুভূতি কাজ করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আল্লাহ তাআলা যেন এ কাজটিকে আমার নাজাতের উসিলা বানান।
উল্লেখ্য যে, ইমতিয়জ হায়দার শুধু পুরো কুরআন মাজিদ লিখেই থেমে থাকেননি। তিনি মহান আল্লাহ তাআলার ‘আসমাউল হুসনা’ ৯৯ নামও হাতে লিখেছেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মোবারক নামসমূহও হাতে লিখেছেন।
আল্লাহ তাআলা কুরআনের পাণ্ডুলিপির লেখক ইমতিয়াজ হায়দারের এ কাজগুলোকে কবুল করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর