নামমাত্র খরচে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশন। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও মাত্র ২০০ টাকা ভর্তি ফি ও দৈনিক ২০০ টাকা পরিশোধে এ ফাউন্ডেশনের হোমে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন ক্যান্সার রোগীরা। এছাড়া শিশুদের জন্য হোম চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি।
শুধু তাই নয়, হোমে থাকা রোগীদের জন্য রয়েছে খাবার ও যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ফ্রি। রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি নেয়ার আগে, থেরাপি নেয়ার সময় এবং পোস্টথেরাপি সমস্যা সমূহের হোমসাপোর্ট দেয়া হয়।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৫৪৩ জন ক্যান্সার রোগী এ ফাউন্ডেশন থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন। ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছরই একই সংখ্যক রোগী এ হোম থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধাপক ডা. মো. নওফের ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিবর্তন, জীবন যাপনের পদ্ধতি, বায়ো হ্যাজার্ডস ইত্যাদি নানাবিধ কারণে সারা বিশ্বে ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ লাখ ক্যান্সার রোগীর বর্তমান আছে এবং বছরে প্রায় ২ লাখ নতুন ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ছে।
মতবিনিময় সভার বিশিষ্ট সার্জিক্যাল ইউরো অনকোলজিস্ট ইনসাফ বারাকাহ কিডনি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম, ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধাপক ডা. মো. নওফের ইসলাম, ফাউন্ডেশন ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এএসকিউএম সাদেক, ফরিদা ইয়াসমিন কনা, মো. আলতাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দিগন্ত মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম মতবিনিময় সভায় ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রসঙ্গে তামাককে বেশি দায়ী করেন।
তিনি বলেন, কিছু ক্যান্সার বংশগতভাবে হয়। যেমন- স্তন ক্যান্সার। আর শতকরা ৯০ ভাগ ক্যান্সারের জন্য দায়ী আমাদের দেশের পরিবেশ। পরিবেশের মধ্যে ভাগ করে বললে বলা যায়, কিছু রাসায়নিক পদার্থের কথা। বিশেষ করে তামাক থেকে অর্ধেকের বেশি ক্যান্সার হয়। ফুসফুসের ক্যান্সারের ৮৫ থেকে ৯০ ভাগই তামাক তথা ধূমপানের কারণে। তাই সবার আগে তামাকের ঝুঁকিটা আমাদের হ্রাস করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার চিকিৎসার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার রোগী পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা মূলত রাজধানী কেন্দ্রিক রয়ে গেছে।
এমইউ/আরএস/এমকেএইচ