করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতির কথা বলছে সরকার। আশার কথা এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি কেউ। তবে অনেককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় দেশ পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত এমনটি বলা যাচ্ছে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা অত্যন্ত জরুরি।
Advertisement
করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে কোটি কোটি শিক্ষার্থীর জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি। এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা স্কুলে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। তিনি এমনও বলেছেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া কোনো সমাধান নয়। পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে স্কুল-কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন। শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ করার বিষয়ে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেইনি। এছাড়া আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। যাদের গলা ব্যথা, সর্দি আছে তাদের আপাতত জামাতে নামাজে না যাওয়ার অনুরোধ করা হলো।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত তৃতীয় রোগীও সুস্থ হয়ে উঠছেন। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকবার নমুনা পরীক্ষা নেগেটিভ এলেই তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হবে। ইতোপূর্বে আক্রান্ত অপর দুজনের পরপর দুবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আশায় তাদের করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও করোনাভাইরাস আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে আইইডিসিআর ল্যাবরেটরিতে মোট ২৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৯ জনকে হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন চারজন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন ৩১ জন।
Advertisement
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। বিশ্বব্যাপী এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে একেকটি দেশ বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সবধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে সরকারকে। গুজব বা আতঙ্ক না ছড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে।
এইচআর/এমএস