নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে চাল পাচারের ঘটনায় পলাতক ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) হিমাংশু কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ডিমলা থানায় তার বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতে একটি মামলা ও গুদামের চাবিসহ পলাতক থাকায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। মঙ্গলবার (৯ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা খাদ্যকর্মকর্তা সাইফুদ্দিন অভি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৪ জুন হিমাংশু কুমার রায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) হিসেবে যোগদান করেন। এখানে যোগদানের আগে তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি খাদ্য গুদামে কর্মরত ছিলেন। সেখানেও তার বিরুদ্ধে সরকারি খাদ্য শস্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সূত্রমতে, তিনি যোগদানের পরপরই বেশ কিছু অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জেলা খাদ্যবিভাগ একটি তদন্ত টিম গঠন করে।ওই টিম সম্প্রতি তদন্ত শুরু করলে গুদামে ১৮৯ মেট্রিক টন চাল কম দেখতে পায়। যার সরকারি অর্থনীতিতে মূল্য ৮০ লাখ টাকার উপরে।
গতকাল সোমবার সকালে আরসিফুড, ডিসি ফুড ও তদন্ত টিম পুনরায় ডিমলা সরকারি খাদ্যগুদামে গেলে উক্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) হিমাংশু কুমার রায় তার মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যায়।তাকে খাদ্য গুদামে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলে দিনভর। কিন্তু কোনোভাবেই তার অবস্থান জানা যাচ্ছিল না। এমন কি তার বাড়ি লালমনিরহাটের কালিগঞ্জেও সন্ধান চালানো হয়। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা খাদ্য কর্মকতা সাইফুদ্দিন অভি জানান, এ ঘটনায় ডিমলা থানায় একটি মামলা ও একটি জিডি দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এমএএস/এমকেএইচ