পদ্মা বহুমুখী সেতুতে বসল ৩১তম স্প্যান। বুধবার (১০ জুন) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের সময় জাজিরা প্রান্তের ২৫ ও ২৬ নম্বর খুঁটির ওপর স্প্যানটি স্থাপন করা হয়। ৩১তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সাড়ে ৪ কিলোমিটারেরও বেশি অর্থাৎ ৪ হাজার ৬৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন থেকে ভাসমান ক্রেনে স্প্যানটি আনা হয় জাজিরা প্রান্তে। দুপুর আড়াইটার দিকে ২৫ ও ২৬ নম্বর খুঁটির ওপর উঠানোর কাজ শুরু হয়। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের সময় স্প্যানটি খুঁটির ওপর সম্পূর্ণভাবে স্থাপন করেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটিই জাজিরা প্রান্তের শেষ স্প্যান। এরপর বসানো বাকি থাকলো ১০টি স্প্যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুতে বসানোর জন্য আরও চারটি স্প্যান প্রস্তুত আছে। আগামী বছর জুন মাসে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা।
অপরদিকে সংশোধিত শিডিউল অনুযায়ী আগামী নভেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান খুঁটিতে বসে যাওয়ার কথা আছে। তবে দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আগস্টের মধ্যে খুঁটির ওপর সব স্প্যান বসে যাবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দ্বিতল হবে। যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক পিলার থেকে আরেক পিলারের দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
৪২টি পিলারের ওপর মোট ৪১টি স্প্যান জোড়া দেয়া সম্পন্ন হলে পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড।
ছগির হোসেন/এফএ/জেআইএম