নিকট ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই। ফলে ব্যাট ও বল যাদের নিত্যসঙ্গী, সেই ক্রিকেটারদের বড় একটা অংশ অনুশীলনের বাইরে অনেক দিন। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব কষলে ১০০ দিনের বেশি হয়ে গেছে।
প্রিয় ক্রিকেট তারকারা কে কি করছেন? করোনায় কার কেমন কাটছে সময়? তা জানতে আগ্রহের কমতি নেই ভক্ত-সমর্থকদের। তাদের জন্য মোটা দাগের খবর, করোনায় আক্রান্ত সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মিরপুরের বাসায় আইসোলেশনে। দেশ ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান স্ত্রী-সন্তানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে । এছাড়া জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের বড় অংশ রাজধানীতেই অবস্থান করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, টি-টোয়েন্টি দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহীম, ওপেনার লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব, লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ঢাকায়ই আছেন।
তারা যেহেতু ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকেন, তাই ফিজিক্যাল ট্রেনিং, রানিং মেশিনে রানিং আর জিমের হালকা সামগ্রীতে জিমওয়ার্ক করা ছাড়া সে অর্থে তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। রাজধানীতে অবস্থানরত ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র মুশফিক বেরাইদে ফারটিস ফুটবল একাডেমি মাঠে রানিং ও সিনথেটক টার্ফে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছেন। আর তামিম, রিয়াদ এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকা মুমিনুল, লিটন ও তাইজুল ইসলাম ফ্ল্যাটেই জিম ও ট্রেডমিলে রানিং করে ফিটনেস ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
এদিকে জাতীয় দলের বহরের আরেকটা বড় অংশ সেই লকডাউন থেকেই রাজধানীর বাইরে নিজ শহর বা গ্রামে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে ড্যাশিং টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার তার নিজ শহর সাতক্ষীরায়। স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ খুলনায় নিজের বাসায়।
অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও নিজ শহর ফেনীতে আছেন। পেসার রুবেল হোসেন বাগেরহাটে নিজ শহরে, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ময়মনসিংহ শহরে, সাব্বির রহমান রুম্মন আছেন রাজশাহীতে। আর কদিন আগে করোনার ধাক্কা সামলে ওঠা বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপু নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিজ বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন।
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ