রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে নেশার টাকা নিয়ে তর্কে মা জেসমিন আক্তারকে (৪৫) বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন মো. জুয়েল। হত্যার দায় স্বীকার করে জুয়েল ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (১৫ জুলাই) জুয়েলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। জুয়েল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাকে আদালতে হাজির করে তা রেকর্ড করার আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক মো. জোবায়ের। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, কামরাঙ্গীরচর বড়বাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে খুন হন মা জেসমিন আক্তার। এ সময় বাসায় একাই ছিলেন ছেলে জুয়েল। জুয়েল পেশায় বাসের হেলপার। মায়ের সঙ্গে নেশার টাকা নিয়ে তর্কে লিপ্ত হয়ে জুয়েল একপর্যায়ে হাতের কাছে থাকা বঁটি দিয়ে মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জেসমিন আক্তার। এ ঘটনায় জেসমিন আক্তারের স্বামী মো. বাকের ছেলে জুয়েলকে আসামি করে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন।
জেএ/এএইচ/এমএস