খেলাধুলা

বিশ্বজয়ী কোচের জন্য পুরো যাত্রাই বাতিল করেছিলেন ধোনি

দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষার পর দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি গ্যারি কারস্টেনের কোচিংয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। কারস্টেনের কোচিং ও ধোনির অধিনায়কত্ব- ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে বড় নিয়ামক ধরা হয় এ দুটিকে। মাঠের বাইরে ধোনি ও কারস্টেনের সম্পর্কটাও ছিল খুব দৃঢ় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ।

সেই বিশ্বকাপের আগে পুরো ভারতীয় দলের জন্য ব্যাঙ্গালুরুর ফ্লাইট স্কুল যাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কা দেখিয়ে দলের তিন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গ্যারি কারস্টেন, প্যাডি আপটন এবং এরিক সিমনসকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। যার ফলে পুরো দলের যাত্রাই বাতিল করে দিয়েছিলেন অধিনায়ক ধোনি।

প্রায় এক দশক আগের সেই ঘটনা এখনও মনে রেখেছেন সাবেক প্রোটিয়া ওপেনার। ইউটিউব লাইভ ‘দ্য আরকে শো’তে ধোনির ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে, এ ঘটনার কথা জানিয়েছেন কারস্টেন। এসময় ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে যায় ভারতের বিশ্বজয়ী কোচকে।

কারস্টেন বলেছেন, ‘আমি অনেকবারই বলেছি, আমার দেখা অসাধারণ ব্যক্তিত্বের একজন হলো ধোনি। সে দুর্দান্ত একজন নেতা। যেকোন কিছুতে নেতৃত্ব দেয়ার গুণটা তার মধ্যে অনেক বেশি। আমার মনে হয় সে যেকোন বিষয়ে নিষ্ঠাবান, এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিশ্বকাপের ঠিক আগ দিয়ে হওয়া ঘটনা আমি কখনও ভুলবো না। আমরা ব্যাঙ্গালুরুতে ফ্লাইট স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। দলে আমি ছাড়াও বেশ কয়েকজন বিদেশি সাপোর্ট স্টাফ ছিল। সবাই যখন সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন জানতে পারলাম আমি, আপটন ও সিমনস সেখানে যেতে পারব না। কারণ এতে নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দিতে পারে। তাই ধোনি সঙ্গে সঙ্গে এ যাত্রা বাতিল করে দেয় এবং বলে যে, এরা আমারই লোক। এরা না যেতে পারলে, আমরা কেউই যাচ্ছি না। ধোনির নেতৃত্বগুণটা ঠিক এমনই ছিল।’

এসময় নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের কথা জানিয়ে কারস্টেন বলেন, ‘সে সবসময় আমার অনুগত ছিল। আমি মনে করি সে নিজেও এভাবে ভাবত। আমরা সবসময়ই জিততাম, এমন নয়। কঠিন সময়ও আসত। তখন আমরা মুখোমুখি হয়ে দলকে এগিয়ে নেয়া ব্যাপারে আলোচনা করতাম। আমাদের সম্পর্কটা খুবই দৃঢ় ছিল।’

২০০৭ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল কারস্টেনকে। তার অধীনে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয় ছাড়াও, প্রথমবারের মতো টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল ভারত। বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজ থেকেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন এ প্রোটিয়া কিংবদন্তি।

এসএএস/পিআর