ইউক্রেনে রাশিয়া না পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্য থাকবে- এ নিয়েই গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে শুরু হয় রাজনৈতিক সংকট। এ সংকটের শেষ কোথায়, তা কেউ বলতে পারছে না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইউক্রেন-সংকট দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে।ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সেই সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিশাল এলাকা দখলে নিয়ে আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় রুশপন্থীরা। আর সেই মোতাবেক নিজেদের নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচনে গত রোববার এ দুটি শহরে নির্বাচনের আয়োজন করে বিদ্রোহীরা। তবে এ নির্বাচন দেশটির শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো।বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা ঠিক করতে আজ মঙ্গলবার শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে জোরালো সামরিক অভিযানের মাধ্যমে বিদ্রোহীদের বিনাশ করার প্রস্তাব দেবেন পোরোশেঙ্কো। আগের দিন সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পোরোশেঙ্কো বলেন, ‘২ নভেম্বর দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের নির্বাচন বন্দুকের নলের আগায় হয়েছে। তাই ভোটার কী চায়- তার প্রতিফলন এ ভোটের মাধ্যমে কখনো পূরণ করা সম্ভব নয়। এ ভোটকে কখনো স্বীকৃতি দেবে না ইউক্রেন।’তিনি আরো বলেন, রাশিয়া ও ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা (ওএসসিই) মধ্যস্থতায় বিদ্রোহী ও ইউক্রেন সরকারের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে যে প্রাথমিক শান্তি ও অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়েছিল, সেটাও পরিপূর্ণভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে এ নির্বাচনের মাধ্যমে।ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এ ভোটের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইউক্রেন-সংকট নিয়ে জল ঘোলা করায় রাশিয়ার ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে জার্মানি। তবে এ নির্বাচনে জোরালো সমর্থনের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। ইতিমধ্যে দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছে রুশপন্থী নেতা আলেক্সজান্দার জাকারচেঙ্কো। লুহানস্কের নেতাও নির্বাচিত করতে যাচ্ছে রুশপন্থীরা।