বিনোদন

শুরু হচ্ছে তারকাবহুল ফ্যামিলি ফ্যান্টাসি

এই বিশ্বসংসারে প্রতিদিনই কিছু না কিছু অদ্ভুত, অনাকাঙ্ক্ষিত, অমানবিক ও হাস্যকর ঘটনা ঘটছে। সচেতন বা অবচেতনভাবে সেসব ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে যায় মানুষ। ঠিক যেমনটি আবেদ সাহেবের পরিবারে দেখা যাবে।

আবেদ সাহেবের পরিবারের সদস্য সংখ্যা মোটে সাতজন। কিন্তু কখনো কখনো এই সাতজনের নানামাত্রিক আচরণে সব পরিবারের ওপর সাত আসমান ভেঙে পড়ে। এমনিতে সবকিছু ঠিকঠাক। দুঃখ যা একটু তা শুধু বড় মেয়েটাকে নিয়ে। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় সংসার করা সম্ভব নয় বলে স্বামীকে ছেড়ে চলে এসেছে। কেন? কী সমস্যা? সেসবের কোনো উত্তর নেই।

একেক সময় একেক রকম তথ্য সে দেয়। যার কোনোটা সত্য, কোনোটা বানানো। বড় ছিচকাঁদুনে স্বভাবের। বড় ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে বেকার। সমাজবদলের যে চিন্তা তার মাথায় ঢুকেছিল ছাত্রাবস্থায় সেই স্বপ্নেই বুঁদ হয়ে একেক সময় একেকরকম কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে। কিছুদিন পর ‘কিচ্ছু হবে না, সব ভন্ড’, এসব বলে সব ছেড়েছুড়ে ঘরবন্দি হয়, নতুন কোনো স্বপ্নে। এখনো অবিবাহিত। প্রেমিকা একজন ছিল বটে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কিন্তু কোন এক অজানা কারণে সম্পর্কচ্ছেদ হয়।

ছোট ছেলে-মেয়ে দুটো পিঠাপিঠি। সারাক্ষণ দুজনের মধ্যে ঝগড়া, অভিমান চলতে থাকে। বেশিক্ষণ একা থাকতে পারে না। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। নানা রকম অদ্ভুত আইডিয়া সবসময় তাদের মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। ছেলেটা প্রেমে পড়েছে বোঝা যায়। কিন্তু মেয়েটা বেশ কনফিউসড এসব ব্যাপারে। বাসার কাজের লোকটা আবেদ সাহেবেরই গ্রামের। বহু বছর ধরে আছে। তিনকুলে তার কেউ নেই। এই সংসারই তার সংসার। তবে তার ভুলে যাওয়ার রোগ আছে। আবেদ সাহেবের স্ত্রী চরিত্রটিকে সন্তানদের সব ব্যাপারেই সাহায্যকারীর ভূমিকায় দেখা যায়। সন্তানদের সব কিছুতেই তার সায়।

এমনই এক পারিবারিক গল্পে নির্মিত হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘ফ্যামিলি ফ্যান্টাসি’। এর প্রচার শুরু হচ্ছে দেশ টিভিতে আগামী মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এটি প্রচারিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নাটকটির পরিচালক অনন্য ইমন। আদিত্য জায়িদের রচনায় এ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল হাসান কিসলু, ডলি জহুর, শতাব্দি ওয়াদুদ, নাদিয়া, ইরফান সাজ্জাদ, নাদিয়া নদী, কাজী উজ্জ্বল, ইভানা, এস আই শহীদ, ঈশিকা, মৌসুমি বিশ্বাস, মোস্তফা প্রকাশের মতো একঝাঁক প্রিয়মুখ।

এলএ/এমকেএইচ