আসাদুজ্জামান সুমন
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় মো. জাকির হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জাকির হোসেন উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের চর শৈল্যা গ্রামের আবুল কালামের বড় ছেলে। ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বহনের কাজ করতেন তিনি।
জাকিরের বাবা আবুল কালাম জানান, গত বুধবার বিকেলে খেজুরবাগের শফিকুল ফোন করে জাকিরকে ডেকে নেন। স্থানীয় মেম্বারের কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে খেজুরবাগ বালুর মাঠ সংলগ্ন শফিকুলের বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠান। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকিরের মৃত্যু হয়।
আবুল কালামের অভিযোগ, ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে সহযোগীদের নিয়ে জাকিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শফিকুল। তার বাড়ি থেকে জাকিরকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার শরীরে বালু মাখানো ছিল এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। এছাড়া শফিকুলের বোন ঘরের দরজা খুলে জাকিরের শার্ট ও মোটরসাইকেলের চাবি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান জানান, জাকিরের মৃত্যুটি রহস্যজনক। প্রাথমিক তদন্তে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, মিডফোর্ট হাসপাতাল থেকে আমরা জাকিরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তার মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় তদন্ত করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএইচ/এমএস