মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সৎবাবার সহায়তায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় সৎবাবা ইমরান হোসেনসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের কুটাগাঁও গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কাশেম আলী (২৩), গাজীপুরের গাংপার এলাকার আসকর আলীর ছেলে আরজান আলী ও গাজীপুরের মাস্টার দোকান এলাকার ঝন্টু সূত্রধরের ছেলে রাজেশ সূত্রধর পাপ্পু (২১)।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাবা মারা যাওয়ার পর ইমরান হোসেনকে বিয়ে করেন তরুণীর মা। ওই ঘরে ইমরানের এক ছেলেসন্তান হয়। ১০ বছর আগে তরুণীর মা মারা যাওয়ায় ইমরান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের ফেলে কুলাউড়ায় নতুন স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান তিনি।
ইমরানের পরের ঘরে জন্ম নেয়া ছেলেসন্তানকে দেখতে সাতদিন আগে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা থেকে কুলাউড়ায় আসেন তরুণী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তরুণীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পৌর শহরের বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যান ইমরান। পৌর শহরের স্টেশন রোডে নিয়ে তিন হাজার ১০০ টাকার বিনিময়ে তরুণীকে কাশেম আলীর হাতে তুলে দেন তিনি।
সেখান থেকে কাশেম ও তার সহযোগী আরজান এবং পাপ্পু তরুণীকে সিএনজিযোগে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া এলাকার কাদির মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান।
সেখানে আটকে রেখে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তারা। রাতে তরুণীর চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়রা। পরে ধর্ষকদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন তারা।
খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সহায়তাকারী তরুণীর সৎবাবা ইমরান হোসেন পলাতক।
কুলাউড়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সনক কান্তি দাশ বলেন, এ ঘটনায় তরুণী অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা রেকর্ডের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তরুণীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
রিপন দে/এএম/এমকেএইচ