ক্যাম্পাস

ভর্তির দাবিতে অপেক্ষমাণদের অনশন ‘গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত’

ক্লাস শুরুর প্রায় আট মাস পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির দাবিতে অনশনকে ‘অসৎ অভিপ্রায়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

একই সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মােতাবেক সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হওয়ায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পুনরায় শুরু না করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (২৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি হওয়ার দাবি নিয়ে পূজার সরকারি ছুটি চলাকালীন ৭-৮ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনশনকারীদের ভর্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ১ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ‘তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে প্রতীয়মান হয় যে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মােতাবেক সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হয়েছে। যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মকানুন অনুসরণ করেই ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্পন্ন করেছে বিধায় পুনরায় শিক্ষার্থী ভর্তির আর কোনো সুযােগ নেই। এছাড়া এর আগে বাংলাদেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্তি ঘােষণার ৮-৯ মাস অর্থাৎ ক্লাস শুরুর হওয়ার ৭-৮ মাস পরে শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো নজির নেই।’

‘পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেও দেখা যায় যে, ক্লাস শুরুর বেশিদিন পর শিক্ষার্থী ভর্তি করলে পরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ক্লাসে তাল মেলাতে পারে না এবং পরবর্তীতে খারাপ ফলাফল করে ও হতাশায় ভােগে।’

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও সমাপনের পরে পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম আরম্ভ করার কার্যক্রমে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে এবং এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে যা ক্ৰমান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও স্বার্থের পরিপন্থী। এ ধরনের দাবি ‘স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের চক্রান্ত’ উল্লেখ করে বলা হয়, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির জন্য এমন দাবি ও অনশনের বিষয়টি নজিরবিহীন ও দুঃখজনক একটি ঘটনা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য অসৎ অভিপ্রায়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত।

এ সকল চক্রান্তকারীদের থেকে সংশ্লিষ্টদের সাবধান থাকার আহ্বান জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সুকান্ত সরকার/এসআর/এমকেএইচ