আসন্ন মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচ প্রার্থী। তবে স্থানীয়দের ধারণা, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। জনসমর্থন ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থাকা এই তিন প্রার্থী হলেন- সরকারদলীয় প্রার্থী আহম্মেদ আলী, বিএনপি প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম।
দেশব্যাপী পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাংনীর নির্বাচন। এ পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ জনের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদে ৪০ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন।
এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে। শহরজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ভোট নিয়ে আলোচনা।
তবে কোথাও কোথাও প্রচার মাইক ভাঙচুর ও কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারদলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বললেও এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন স্বতন্ত্র ও বিরোধীদলীয় প্রার্থীরা।
বিরোধীপক্ষের প্রার্থীর প্রচার মাইক ভাঙচুর, প্রচারণায় বাধা এবং হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলীর সমর্থকরা আমার কর্মী ও সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভীতি প্রদর্শন করছেন। এছাড়া, প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।’
সব মিলিয়ে প্রচারণা চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহম্মেদ আলী বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়। নির্বাচনে পরাজয়ের সম্ভাবনায় তিনি নানা ধরনের দোষ চাপাচ্ছেন।’
এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানান বিএনপি প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু। কোনো ধরনের হুমকিও পাননি তিনি।
বাবলু মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে ভোট সুষ্ঠু হলে তিনিই বিজয়ী হবেন।
এবারই প্রথমবারের মতো গাংনীতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়া হবে। তবে ইভিএম সম্পর্কে কিছুই জানেন না বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ। এতে সঠিকভাবে ভোট দেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মর্জিনার প্রশ্ন, ‘ইভিএম যে ভোট নেয়া হবে, জিনিসটা কী?’ এতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান তিনি।
মেহেরপুর জেলা রিটার্নিং অফিসার আহম্মেদ আলী জানান, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা করণীয় তাই করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং ভোটের আগেই কেন্দ্রে ইভিএম পাঠিয়ে সাধারণ ভোটারদেরকে ভোট প্রয়োগের ব্যাপারে জানানো হবে।’
আসিফ ইকবাল/এসএস/এমএস