ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় প্রতিপক্ষের হামলায় উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন বল্টু (৫৫) নিহতের ঘটনায় রোকুনুজ্জামান বাপ্পীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে শৈলকুপা থানায় নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ভাই ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শওকত আলী বাদী হয়ে রোকুনুজ্জামান বাপ্পীকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
এর আগে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ভোট চাইতে গিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু (৫০) ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এর কিছুক্ষণ পরই একই ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী বাবুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফলে শৈলকুপা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর নির্বাচনকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা টহল শুরু করেছে নির্বাচনী এলাকায়।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জুয়েল আহমেদ জানান, কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন কেন্দ্রে দুইজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুই প্লাটুন বিজিবি এবং চারশ পুলিশ সদস্য এবং ১৩৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট সুষ্ঠু করতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বল্টু হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর সদর হাসপাতাল থেকে সকালে বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, ওইদিন রাতেই অপর কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধারের ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসএমএম/এফএ/এমএস