জয়পুরহাট জেলায় করোনার ভ্যাকসিনের ডোজ পাবেন ২৪ হাজার জন। তবে যারা ডোজ পাবেন তাদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসন সন্মেলন কক্ষে সংবাদ সন্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম।
সংবাদ সন্মেলনে জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিনিধি, সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী বলেন, ২ কার্টনে অর্থাৎ ২৪০০ ভায়াল ভ্যাকসিন এসেছে যা থেকে ২৪ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৭৫৯২ জন, পাঁচবিবি উপজেলায় ৬১৮৭ জন, কালাই উপজেলায় ৩৭৬১ জন, আক্কেলপুর উপজেলায় ৩৬১৫ জন ও ক্ষেতলাল উপজেলায় ২৮৪৫ জনকে টিকা দেয়া যাবে। পর্যাক্রমে সস ধরনের শ্রেণি-পেশার মানুষকে টিকা দেয়া হবে।
জয়পুরহাট জেলায় টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সিভিল সার্জন অফিস, জেলা হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৫৮টি বুথের মাধ্যমে। প্রত্যেকটি বুথের জন্য দুজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবীকে দুইদিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শ্যামল কুমার জানান, জয়পুরহাটে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ১৭০ জন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৩৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩১৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
সংবাদ সন্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইশরাত ফারজানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরুজ্জামান।
রাশেদুজ্জামান/এসআর/এমএস