গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে মেয়েদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় চয়ন বৈদ্য নামে এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়েছে বখাটেরা। চয়ন বৈদ্যকে রক্ষায় মঞ্জিলা বেগম (৫০) নামে এক নারী প্রতিবাদ করলে বখাটেরা তাকেও পিটিয়ে আহত করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার শুয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত চয়ন বৈদ্য শুয়াগ্রামের গুরুদাস বৈদ্যর ছেলে ও শুয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। মঞ্জিলা বেগম একই গ্রামের রহমান বিশ্বাসের স্ত্রী। তাদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে চয়ন বৈদ্যের পিতা গুরুদাস বৈদ্য বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শুয়াগ্রামের ডা. ভবানন্দের বাড়িতে সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে পাশ্ববর্তী দক্ষিণপাড়া গ্রামের ছত্তার শেখের ছেলে বখাটে শরিফুল শেখ (২০) ও আতিয়ার শেখের ছেলে আজগর মেয়েদের উত্যক্ত করে। এ সময় চয়ন বৈদ্য ও তার বন্ধুরা প্রতিবাদ করে।
এ ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চয়ন বৈদ্য নিজ বাড়ি থেকে শুয়াগ্রাম বাজারে যাওয়ার পথে শরিফুল শেখ ও আজগর শেখ বন্ধুদের নিয়ে তাকে মারধর শুরু করে। এ সময় চয়ন বৈদ্য জীবন রক্ষার্থে পাশ্ববর্তী রহমান বিশ্বাসের বাড়িতে আশ্রায় নেয়। বখাটেরা সেখানেও তার উপর হামলা চালায়। এ সময় রহমান বিশ্বাসের স্ত্রী চয়ন বৈদ্যকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও মারধর করে।
চয়ন বৈদ্যের বাবা গুরুদাস বৈদ্য জাগো নিউজকে বলেন, বখাটে শরিফুল ও আতিয়ার প্রায় এলাকার স্কুল-কলেজগামী মেয়েদেরকে উত্যক্ত করে।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আহত চয়ন বৈদ্যের বাবা গুরুদাস বৈদ্যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ/এমএস