খেলাধুলা

৭ বছর ধরে পরিত্যক্ত শেখ কামাল স্টেডিয়াম মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য

গোপালগঞ্জের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ৭ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কোনো ধরনের খেলা এ স্টেডিয়ামে হচ্ছে না। এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, বসার আসন নষ্ট হয়ে গেছে। নিরিবিলি পরিবেশ হওয়ায় ঘাঁটি গেড়ে বসেছে মাদকসেবীরা।

গোপালগঞ্জে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমির উপর আন্তর্জাতিকমানের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে সুইমিংপুল, জিমনেশিয়ামসহ উন্নত মানের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

১২ হাজার দর্শকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এই স্টেডিয়ামে। অবকাঠামোগত সমস্যা ও উন্নত মানের আবাসিক হোটেল না থাকার অজুহাতে ৭ বছর ধরে কোনো ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না এখানে। যার ফলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে স্টেডিয়ামটি।

নষ্ট হয়ে গেছে স্টেডিয়ামের ভিআইপি লাউঞ্জের এসি, লিফট, গ্যালারির চেয়ার, লাইটসহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছু। স্টেডিয়ামটিতে তদারকির কেউ নেই। এ কারণে স্থানীয় ক্রিকেটার ও ক্রিকেটপ্রেমীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এভাবেই যখন ফেলে রাখা হবে, কি দরকার ছিল এত টাকা খরচ করে এই স্টেডিয়ামটি করার!

জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে স্থানীয় খেলোয়াড় শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ জেলায় নতুন কোনো খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না। তাছাড়া চারদিকে নোংরা পরিবেশ ও মটর গ্যারেজ গড়ে ওঠায় সৌন্দর্য হারিয়েছে স্টেডিয়ামটি। নিরিবিলি পরিবেশ হওয়ায় মাদকাসক্তদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এটি।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি শাহিদা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের খেলা শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এই অবকাঠামোতে সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে স্টেডিয়ামটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলে সবকিছু নষ্ট তো হবেই। দ্রুত এখানে যাতে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।’

মেহেদী হাসান/এমএমআর/এএসএম