দেশজুড়ে

মসজিদ সংস্কারে অনুদান, সাকিবের জন্য দোয়া করেন মুসল্লিরা

মাগুরা সদর উপজেলার বারাশিয়া জামে মসজিদটি ১৯৮২ সালে নির্মিত হলেও জায়গা সংকটের কারণে একসঙ্গে বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন না। চার কাতারে একশ মানুষের নামাজ আদায় করাই ছিল কষ্টকর। মসজিদের ভেতরেও ছিল নানান সমস্যা। গরমে নামাজ আদায় করতেও কষ্ট হতো। মসজিদের মেঝেও ছিল অমসৃণ। কিন্তু বর্তমানে জুমার দিনগুলোতে মসজিদটিতে মুসল্লিদের ঢল নামে। মেঝেতে টাইলস এবং ফ্যানের সঙ্গে মসজিদের ওয়ালে লাগানো হয়েছে এসি।

বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার নিজ তহবিল থেকে মসজিদটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করে দিয়েছেন। সুসজ্জার পাশাপাশি টাইলস ও এসি লাগানো হয়েছে। এখন মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় তিনশ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। জায়গা ও কার্পেটের সমস্যাও নেই। ফলে দিন দিন মসজিদটিতে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ছে। তবে বর্তমানে করোনার কারণে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি কিছুটা কম।

মসজিদটির ইমাম হাফেজ মুফতি আতিকুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাগুরার কৃতি সন্তান সাকিব আল হাসান মসজিদটি দ্বিতল করার পাশাপাশি একটি মডেল মাদরাসাও করার স্বপ্ন দেখছেন।’

জুমার নামাজে বারাশিয়া জামে মসজিদে আগত এক মুসল্লি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নানার বাড়ি মাগুরা সদরের বারাশিয়া গ্রামে। সে সুবাদে মসজিদটিতে তিনি বেশ কয়েকবার নামাজও আদায় করেছেন এবং মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে মসজিদটি তিনি নিজ অর্থায়নে সংস্কার করে দিয়েছেন। মসজিদটি অনেক আগে নির্মিত হলেও চার কাতারে একশ’র বেশি লোক নামাজ আদায় করতে পারতেন না। পরবর্তীতে তিনি মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করে সুসজ্জিত করে দেয়ার উদ্যোগ নেন।’

বারাশিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাকিব আল হাসান তার নিজের অর্থায়নে আনুমানিক ত্রিশ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করে এই মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করেছেন। এখন আর আমাদের কষ্ট করে নামাজ আদায় করতে হয় না। স্থানীয়রা আধুনিক ও সুসজ্জিত মসজিদটি পেয়ে সাকিবের জন্য প্রাণ ভরে দোয়াও করেন।’

এ বিষয়ে সাকিব আল হাসানের পিতা কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মাশরুর রেজা কুটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে সাকিবের মামা বারাশিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মো. বাবলুর রহমান বলেন, ‘দ্বীনের স্বার্থে সাকিব বিষয়টি গোপনই রাখতে চেয়েছেন।’

মো: আরাফাত হোসেন/এমএইচআর/জেআইএম