নানা সমস্যায় জর্জরিত মাদারীপুর আবহাওয়া অফিস। ঝুঁকিপূর্ণ অফিসে দীর্ঘদিন কার্যক্রম চললেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সমস্যা নিরসন হচ্ছে না। ফলে জনসাধারণ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিতের পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সেখানে কর্মরতরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্জন স্থান ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে ভবন এলাকা মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিকেল ও সন্ধ্যার পর সেখানে নিয়মিত মাদকসেবীর আড্ডা বসে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে শহরের কুলপদ্মী এলাকার বকুলতলায় আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। তৎকালীন হিন্দু জমিদার বলরাম সাহার পুরনো ভবনসহ এক একর ৩৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করে আবহাওয়া অধিদফতর। সেই পুরনো ভবনেই এখনো চলছে কার্যক্রম।
মূল ভবনের সামনে সংযুক্ত ৪০ ফুটের তিন কক্ষ বিশিষ্ট ছোট্ট ভবনটি ১৯৮০ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেটি অপসারণে সরকারিভাবে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তবে যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় ভবনটি ভাঙা হয়নি। আবহাওয়া অফিসের মূল ভবনের মেঝে ভালো না হওয়ায় একটি কক্ষ ও দোতলায় অফিসিয়াল কাজ করা হয়।
মূল ভবনের অনেকাংশে ফাটল দেখা দেয়া এবং ছাদের পলেস্তারাও খসে পড়া ভবনের বাইরে সম্প্রতি রঙ করা হয়েছে। এছাড়া ভেতরে দেয়ালের রঙ উঠে বিবর্ণ ও স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে অফিসের মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। মূল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা না হলেও সেখানে কাজকর্ম করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আবহাওয়া অফিসটি নির্জন পরিবেশে হওয়ায় বিকেল ও সন্ধ্যার পরে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে আবহাওয়া অফিসে আটজনের পদ থাকলেও কাজ করেন পাঁচজন। এরমধ্যে একজন অসুস্থ। অফিসটিতে চতুর্থ শ্রেণির কোনো কর্মচারী নেই। নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় অফিসের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক প্রধান ফটক বন্ধ রাখতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন ভবন নির্মাণের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি।’
এ কে এম নাসিরুল হক/আরএইচ/জেআইএম