জীবিকার সংকট দেখা দেয়ায় কঠোর লকডাউনের এক-দুদিন আগে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছিল দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সাধারণ মানুষ। সে সময় যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গিয়েছিল শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে। লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ট্রলারে ঝুঁকি নিয়েও পদ্মা পার হয়েছেন অনেকে।
লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহের তৃতীয় দিন শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই বিকেল পর্যন্ত ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে বাংলাবাজার ঘাটে। যাত্রীদের বেশিরভাগই লকডাউনের আগে বাড়ি ফিরেছিলেন।
সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাট ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, লকডাউনের আগে তারা বাড়িতে আসলেও বসে বসে খেতে হয়েছে। হঠাৎ করে বাড়িতে এসে তেমন কোনো কাজও পাচ্ছেন না। জমানো টাকা প্রায় শেষের পথে। সামনে আবার ঈদ। তখন বাড়তি খরচের ধাক্কা। সবমিলিয়ে বাড়িতে থাকা সমীচীন মনে করছেন না তারা। ফলে ঢাকামুখী হচ্ছেন আবার।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেলে চেপে ভেঙে ভেঙে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছেন অনেকে। গুনতে হয়েছে বাড়ি ফেরার মতো বাড়তি ভাড়া।
জানতে চাইলে সোলায়মা আকন নামের এক ব্যক্তি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোম্পানি থেকে ফোন দিয়ে ঢাকায় যেতে বলেছে। তাই যাচ্ছি। গিয়ে কাজে লেগে যেতে হবে।’
হাসান ফকির নামের এক যুবক বলেন, ‘সামনে ঈদ। লকডাউনে বাড়িতে এসে টাকা-পয়সা সব শেষ হয়ে গেছে। ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। ঈদের খরচ লাগবে।’
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে এই ঘাটে। লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানিয়েছে, ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য ছোট গাড়ি তেমন নেই। পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। সকাল থেকে ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেশি রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, ঘাটে গাড়ির তেমন চাপ নেই। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে ঢাকাগামী যাত্রীদের কিছুটা চাপ রয়েছে।
একে এম নাসিরুল হক/এসআর/জেআইএম