দেশজুড়ে

ইউএনওকে দেখে কেঁদে ফেললেন মতিলাল দম্পতি

এক সময় সুইপারের কাজ করলেও বয়সের ভারে এখন ন্যূব্জ। তিন ছেলের কেউ খরচ দেয় না। তাই অসহায় মতিলাল (৭১) স্ত্রী রতিবালাকে (৬৫) নিয়ে অন্যের পুকুর পাড়ে প্লাস্টিকের ছাউনিতে বসবাস করেন। বৃষ্টি এলে কাকভেজা হয়ে যান অসহায় এ দম্পতি।

মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে খবর পেয়ে ওই দম্পতিকে দেখতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে তাদের বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জিয়াউল হক মীর।

ইউএনওকে দেখে কেঁদে ফেলেন অসহায় বৃদ্ধ মতিলাল মজুমদার ও তার স্ত্রী রতিবালা মজুমদার। এসময় ইউএনও তাদের খাবারের দায়িত্ব নিয়ে খাদ্য সামগ্রী দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর দেয়ার আশ্বাস দেন।

ইউএনও জিয়াউল হক মীর জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে অসহায় মতিলাল দম্পতিকে দেখতে এলাম। তাদের করুন অবস্থা দেখে নিজেও হতভম্ব হয়েছি।

মতিলাল জানান, তার বয়স ৭০ বছর হলেও বয়স্ক ভাতাটাও পাইনি। কারণ ভোটার আইডি কার্ডে তার বয়স ৬৫ বছরের কম দেখানো হয়েছে। তাই মানুষের সাহায্য নিয়েই চলি।

স্থানীয় চরহাজারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা জাগো নিউজকে জানান, মতিলাল একজন ভালো মানুষ। কিন্তু সাংসারিক জীবনে ছেলেদের আনুকূল্য পায়নি। তার ব্যাপারে গ্রামবাসীরা সবাই আন্তরিক।

এএইচ/এমএস