ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে দুই কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ভুক্তভোগী একজনের ছেলেবন্ধু আশিকসহ চারজনের আবারও দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডকৃত অপর তিনজন হলেন-আপু, রিফাত ও ফাহিম।
বুধবার (১২ মে) তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাদের চারজনকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ধর্ষণের ঘটনায় আরেক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেক আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হোসেন প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে ধর্ষণের ঘটনায় করা এক মামলায় রিফাত ও অপু দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিন দিয়েছেন। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে রোববার (৯ মে) চার আসামিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেক আসামির সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মিশকাত শুকরানা প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী দুই কিশোরীর মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছর ও অন্যজনের বয়স ১৭ বছর। ওই দুজন পরস্পরের বান্ধবী। গত শুক্রবার (৭ মে) সন্ধ্যার পর তারা কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এলাকার মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে যান। বিষয়টি তাদের একজনের (১৮) ছেলেবন্ধু আশিক জানতে পারেন। পরে আশিক আবদুল্লাহপুর এলাকায় গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করে দুজনকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে রাজাবাড়ি এলাকার নির্জন স্থানের একটি ছাপরায় নিয়ে যান। সেখানে আসিফের আরও আট বন্ধু ছিলেন। একপর্যায়ে আসিফসহ নয়জন ওই দুইজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে তারা রাত ১০টার দিকে বাসায় গিয়ে ঘটনাটি পরিবারকে জানান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজনের ছেলে বন্ধুসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
জেএ/ইএ/এমএস