ঈদের দিনের রসনাবিলাসে মাংস যেন অপরিহার্য, তাই মাংসের দোকানে ভিড় জমেছে ক্রেতাদের। ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে মাংসের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
Advertisement
চাহিদা বাড়ার সুযোগে অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। কোনো কোনো বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। যা একদিন আগেও ছিল ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। যদিও রমজানের মধ্যে ৫৫০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদের দিন সেমাই, পায়েস, মিষ্টান্ন, কোর্মা, পোলাও, খিচুড়িসহ নানান পদের মুখরোচক খাবার রান্না হবে ঘরে ঘরে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল, রায়েরবাগ, শনির আখড়া ঘুরে গরুর মাংস বিক্রির দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। একটু জিরানোর ফুসরৎ নেই মাংস বিক্রেতাদের। কে কার আগে মাংস নেবেন ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা লেগে গেছে।
Advertisement
উত্তর রায়েরবাগে নুরু মিয়ার মাংসের দোকানে ক্রেতাদের তুমুল ভিড়। সালেহা বেগম নামে এক নারী ক্রেতা দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেকজনকে আগে মাংস দিয়েছেন নুরু মিয়া। সালেহা বেগম রেগে গিয়ে নুরু মিয়াকে কটু কথা শোনাচ্ছেন। নুরু মিয়া মাংস কুপিয়েই যাচ্ছেন। ফাঁকে বললেন, ‘আপা কত মানুষ, কে আগে কে পরে মনে রাখতে পারি নাই।’
নুরু মিয়া বলেন, ‘আগের মতোই ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতাছি। আমি গরু জবাই করি না মাংস অন্য জায়গা থেকে আই না বিক্রি করি। আইজ মাংসও বেশি আনছি, কাস্টমারও বেশি। কথা কওনের টাইম নাই।’
রায়েরবাগ দোতলা মসজিদের সামনে আল্লাহর দান গোশত বিতানেও ছিল ক্রেতাদের ভিড়। এখানেও ৬০০ টাকা দরে মাংস বিক্রি হচ্ছিল। মাতুয়াইল খানবাড়ি মোড়ের মাংসের দোকানেও ভিড় দেখা গেছে।
তবে বাড্ডা এলাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। বাড্ডার আলীর মোড় এলাকার বাসিন্দা জুনায়েদ হোসেন বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমি ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনেছি। একদিন আগেও এই দাম ছিল ৬০০ টাকা।’
Advertisement
এর আগে গত ৩১ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেছিলনে, রমজানে মাংসের দাম ৫৫০ টাকার মধ্যে রাখতে পারব আমরা। কেউ এর বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে পারবে না রমজান মাসে। দুই-একটি দোকান যদি এর চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আরএমএম/বিএ/এমকেএইচ