দেশজুড়ে

হাতিয়ায় জাল চুরির অভিযোগে ৫ কিশোরকে বেঁধে নির্যাতন, আটক ৪

নোয়াখালীর হাতিয়ায় জাল চুরির অভিযোগে পাঁচ কিশোরকে নির্যাতন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৬ মে) সকাল পৌনে ১১টায় উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, জেলেপাড়ার গ্রাম্য সালিশে কিশোর জেলেদেরকে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারা হয়।

এ ঘটনায় আটকরা হলেন, শুল্লকিয়া গ্রামের জেলে পাড়ার মাতব্বর শ্রীহরি জলদাস, নেপাল চন্দ জলদাস, বিধান চন্দ জলদাস,রায় মেহেন জলদাস।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্যাতনের ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলা পুলিশ তৎপর হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জেলে পাড়ায় পাঁচ কিশোরকে লাঠিপেটা করা হচ্ছে। এসময় ওই পাঁচ কিশোর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়।

চরকিং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মহিউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, কয়েকদিন আগে পাঁচ কিশোর এক জেলের একটি বিন্দি জাল চুরি করে পাশ্ববর্তী সোনাদিয়া ইউনিয়নের এক জেলের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে ওই জাল উদ্ধার করে শনিবার (১৪ মে) বিকেলে মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এরপর রোববার সকালে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলে পাড়ার মাতব্বর শ্রীহরি দলদাস, নেপাল চন্দ জলদাস, প্রিয় লাল জলদাস বিধান চন্দ জলদাস, রায় মেহেন জলদাসের নেতৃত্বে একটি সালিশ বসে। একপর্যায়ে জেলে পাড়ার পাঁচ মাতব্বর অভিযুক্তদের একজনকে ১০ বেত করে মারার আদেশ দেন ও প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

পরে জেলে পাড়ার মাতব্বরদের নির্দেশে পাঁচ কিশোরকে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করেন চৌকিদার আমির হোসেন।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, জাল চুরির অভিযোগে পাঁচ কিশোরকে নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এসএমএম/জিকেএস