ঝালকাঠির নলছিটিতে ‘আল্লাহর নামে’ রাস্তায় ছেড়ে দেয়া লক্ষাধিক টাকার একটি ষাঁড় জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে পাঁচ কসাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন হাওলাদার থানায় অভিযোগ করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ষাঁড়টি জবাইয়ের আগে ভেটেরিনারি কর্মকর্তার সনদ নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে তিনি বলেন, ডাক্তারি ফিটনেস সনদ ছাড়াই ষাঁড়টি জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কসাই মো. উজ্জ্বল হাওলাদার, মো. লালন হাওলাদার, মো. রুহুল আমিন, মো. মামুন ও মো. বিপ্লব এলাকার গরু ও ছাগল চুরির পর জবাই করে বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছেন। গত মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে ‘আল্লাহর নামে’ ছেড়ে দেয়া আনুমানিক এক লাখ ১২ হাজার টাকা মূল্যের ষাঁড়টি চুরি করে ভোরে শহরের স্টিমারঘাট এলাকায় জবাই করেন। পরে ষাঁড়টির মাথা, চামড়া ও পা নদীতে ফেলে দিয়ে বাজারে মাংস বিক্রি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কসাই জানান, ষাঁড়টি জবাই করে ৬০০ টাকা কেজি দরে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাংস বিক্রি করেছেন তারা।
নলছিটি পৌরসভার স্টাফ মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ওইদিন তিনটি গরু জবাইয়ের জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে সিল দেয়া হয়েছে। ষাঁড় জবাইয়ের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি।
এ ব্যাপারে কসাই উজ্জ্বল ও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ‘আল্লাহর নামে’ ছেড়ে দেয়া ষাঁড় জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওইদিন চারটি গরু জবাই করা হয়। জবাইয়ের সময় নলছিটি থানার পুলিশ সদস্য ওয়াদুদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন। আমরা ক্রয় করা গরু জবাই করেছি।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলি আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো. আতিকুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম