দেশজুড়ে

ইতির এবারের চমক যোদ্ধা-যুবরাজ-সিংহরাজ

দেশসেরা কোরবানির গরু রাজাবাবু ও ভাগ্যরাজ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেয়া মানিকগঞ্জের ইতি আক্তারে খামারে এবারও রয়েছে তিনটি গরু। এগুলোর নাম রাখা হয়েছে যোদ্ধা, যুবরাজ ও সিংহরাজ।

ইতির দাবি, তার প্রতিটি গরুর ওজন হবে ৩০ মণেরও বেশি। বাড়ি থেকেই দরদাম করে বিক্রি করতে চান গরুগুলো।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের কৃষক খান্নু মিয়ার মেয়ে ইতি আক্তার। প্রান্তিক পর্যায় থেকে বিশালাকৃতির গরু পালন করে দেশব্যাপী আলোচিত তিনি। গরু লালন-পালনই তার মূল পেশা।

সরেজমিনে খামারে গিয়ে দেখা যায়, ইতি আক্তার, তার মা পরিষ্কার বেগম ও বাবা খান্নু মিয়া সবাই কোরবানির তিন পশুর পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত। খাবার খাইয়ে তাদের একে একে করানো হয় গোসল। মাথার ওপরে এবং আগে পিছনে চলছে বৈদ্যুতিক পাখা। ২৪ ঘণ্টাই বাতাস লাগে তাদের।

ইতির গরু দেখতে হঠাৎ করেই উপস্থিত হলেন পাঁচ-ছয়জন ব্যক্তি। তারা এসেছেন ৫ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম থেকে।

ইতি আক্তার জানান, তিনটি গরুর মধ্যে দুটি (যুবরাজ ও সিংহরাজ) তার খামারেই জন্ম নিয়েছে। তাদের বয়স আড়াই বছর। শুধুমাত্র যোদ্ধাকে কেনা হয়েছে। যোদ্ধার বয়স তিন বছর। নিজের খামারে দুটি ষাঁড় ছিল বলেই এবার আর রেকর্ড গড়ার মতো কোরবানির গরু পালন করেননি ইতি। তবে আগামীতে আবারো চেষ্টা করবেন দেশসেরা পশু তৈরি করার।

ইতি বলেন, ‘করোনা সঙ্কটে কোরবানির পশুর হাট বসবে কি-না সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। এছাড়া বড় গরু হাটে তোলার ঝক্কি ঝামেলা অনেক। তাই বাড়ি থেকেই যোদ্ধা, যুবরাজ ও সিংহরাজকে বিক্রি করতে চাই। আগ্রহী ক্রেতারা দরদাম করে গরু তিনটি কিনতে পারবেন।’

ইতির মা পরিষ্কার বেগম জানান, তাদের কোনো ছেলে সন্তান নেই। ছোট মেয়ে ইতি কোরবানির গরুগুলোকে ভাইয়ের মতোই আদর যত্নে লালন-পালন করে। প্রতিটির নামও দেন তিনি। গরু পালনের আয় দিয়েই তাদের সংসার চলে।

ইতির কোরবানির গরু কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা (০১৭৮৪৮৬৪১৬১ এবং ০১৭৩৩৬৮৮১৯৪) মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ৫২ মণ ওজনের ‘ভাগ্যরাজ’, ২০১৮ সালে একই ওজনের ‘রাজাবাবু’ তৈরি হয়েছিল ইতির খামারে। এছাড়া ভাগ্যলক্ষ্মী ও লক্ষীসোনা নামের কোরবানির গরু পালন করেও আলোচনায় আসেন ইতি।

বি.এম খোরশেদ/এসজে/এমকেএইচ