রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিটি লঞ্চে গাদাগাদি করে যাত্রীরা উঠছেন। তাদের অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
ঢাকা নদীবন্দর ও লঞ্চ মালিকদের দাবি, তারা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে তদারকি করছেন। যাত্রীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মাইকিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। সোমবার (১৯ জুলাই) টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ বাড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
লালকুঠি থেকে ওয়াইজঘাট পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল। সোমবার বিকেল ৩টায় সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড়। হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠছেন যাত্রীরা। টার্মিনালে প্রবেশপথ এবং লঞ্চে ওঠার সময় যাত্রীদের মুখে মাস্ক থাকলেও লঞ্চে ওঠার পর তারা তা খুলে ফেলছেন। প্রতিটি লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাইকিং করা হলেও যাত্রীদের অনেকেই তা মানছেন না। এছাড়া কয়েকটি লঞ্চের চালক ও স্টাফদেরও মাস্ক পরতে দেখা যায়নি।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হুড়োহুড়ি করে এম বি তাসরিফ লঞ্চে ওঠেন জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু তার মুখে মাস্ক ছিল না। জানতে চাইলে জামাল বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মাস্ক পরা হয়নি।’ এ কথা বলেই প্যান্টের পকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে পরেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ টার্মিনালে ভিড় বেড়েছে। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে ২০টি অতিরিক্ত লঞ্চ যুক্ত করা হয়েছে। এর বাইরে আরও শতাধিক লঞ্চ যাত্রী নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাবে।
তিনি বলেন, লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে তদারকি করছি। কোনো লঞ্চ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়তে না পারে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত ২৯টি লঞ্চ ঘাট ছেড়ে গেছে। বাকি লঞ্চগুলো সন্ধ্যা এবং রাতের মধ্যে ঘাট ছাড়বে।
এমএমএ/এএএইচ/এএসএম