জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ধনতলা বাজারে ২০০ টাকা চুরির অপবাদে আনিকা আক্তার (৯) নামের এক শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ধনতলা বাজারে এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত বেলি বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত বেলি বেগম উপজেলার ধনতলা বাজারের আবু বক্করের স্ত্রী। নির্যাতনের শিকার আনিকা একই এলাকার আনিসুরের মেয়ে ও স্থানীয় সমান্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে বেলি বেগম ও রহিমা খাতুন শিশুটিকে বাড়ি ডেকে এনে ধনতলা বাজারের পাশে একটি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে এক ঘণ্টা ধরে মারপিট করেন। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে এর কারণ জানতে চাইলে বেলি বেগম জানান, আনিকা তার বাড়ি থেকে ২০০ টাকা চুরি করেছে। তবে শিশুটি অভিযোগ অস্বীকার করে কাঁদতে থাকে। তারা আরও জানান, শিশুটির বাবা হতদরিদ্র ও আংশিক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। মা অন্যত্র চলে গেছেন। এরপর থেকে সে দাদা-দাদির সঙ্গে আছে।
নির্যাতিত শিশু আনিকা আক্তার বলে, ‘আমি টাকা চুরি করিনি। তারপরও বেলি বেগম ও রহিমা খাতুন গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছেন। এ ঘটনায় আনিকার দাদা আলম ফকির বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, ধনতলা বাজারের চা বিক্রেতা বেলী বেগম চা বিক্রি করছিলেন। তিনি ক্যাশবাক্সে ২০০ টাকা না পেয়ে চুরির অভিযোগ এনে আনিকাকে বাজারের পাশে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। তবে শিশুটি চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ ঘটনায় বেলি বেগমকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাশেদুজ্জামান/এসআর/জিকেএস