দেশজুড়ে

তিস্তাপাড়ে উৎসুক জনতার ভিড়

দেশের প্রধান নদীর অন্যতম তিস্তা নদীর বুকে ১৯৮৫-১৯৯০ সালে নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় স্থাপিত হয় ব্যারাজ। এখানকার সৌন্দর্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে এ বছরের বর্ষা মৌসুম শেষে প্রায় শুকিয়ে যায় তিস্তা নদীর পানি। ফলে কিছুটা কমতে থাকে দর্শনার্থীও।

কিন্তু ১৯ অক্টোবর রাতে উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার গেট খুলে দেওয়ায় হঠাৎ বেড়ে যায় তিস্তার পানি। বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চল। ২০ অক্টোবর রাত থেকে কমতে থাকে পানি। নেমে আসে বিপৎসীমার নিচে। তবে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া তিস্তায় পানি আসায় ব্যারাজে আবারো ভিড় বেড়েছে দর্শনার্থীদের।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে ডিমলা, জলঢাকা, ডোমার, নীলফামারী, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা ও ঠাকুরগাঁও থেকে ব্যারাজ এলাকায় আসতে শুরু করেন ভ্রমণপিপাসুরা। কেউ স্পিডবোর্ডে কেউ বা নৌকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে নদীর ভাটিতে। আবার কেউ কেউ তুলে রাখছেন ছবিও।

বিশ্ব আখেরুজ্জামান নামের এক দর্শনার্থীরা বলে, আমরা এখানে এসে অনেক আনন্দ উপভোগ করলাম। নদীর পানি বাড়ায় আমার পরিবারের সব সদস্য এখানে ঘুরতে আসি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেকানিক্যাল কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বলেন, আমরা বুধবার দুপুর থেকে এখানে এতো পরিমাণ দর্শনার্থী দেখেছি যে যা অতীতে এরকম লোকের সমাগম হয়নি। এখানে দর্শনার্থীদের জন্য বিনোদনের নানা ধরেন জায়গা আছে। তারা সেগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকেই পরিবার নিয়ে এসেছে। এখানে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, এজন্য ব্যারাজ প্রশাসন সজাগ আছে।

এসজে/জেআইএম