দেশজুড়ে

ক্ষতিপূরণের দাবিতে পাটুরিয়ায় মালিক-চালকদের মানববন্ধন

পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরিতে থাকা গাড়ির মালিক, চালক ও হেলপাররা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে অ্যাপ্রোচ সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকমালিক সোয়েবুর রহমান, হারুন অর রশিদ, চালক জিল্লুর রহমান, হাবিব প্রমুখ।

ট্রাকমালিক সোয়েবুর রহমান বলেন, ‘ফেরি ডুবে যাওয়ায় আমাদের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে গাড়ির মালামালসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।’

হারুণ অর রশিদ বলেন, ‘গাড়ি তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেই, সঙ্গে কাগজপত্র হারানোয় ক্ষতি অপূরণীয়। কারণ একটা গাড়ির কাগজ করতে গেলে অনেক খরচ হয়। সঙ্গে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

চালক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ট্রাক চালিয়ে যে উপার্জন হয়, তা দিয়েই আমাদের সংসার চলে। ধারদেনা যা করছি, তাও এ গাড়ি চালিয়ে যা আয় হয়, তা থেকেই পরিশোধ করবো। অথচ এখন গাড়িও গেলো, কাগজপত্রও গেলো।’

তারা ফেরিডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন মেরামত ও এর সঙ্গে খোয়া যাওয়ার কাগজপত্র করতে সরকারি সহায়তার দাবি করেন।

এদিকে, শনিবার সকাল থেকে চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে হামজার পাশাপাশি যোগ দিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চতুর্থ দিনে এ পর্যন্ত দুটি মোটরসাইকেল ও একটি ট্রাক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৩টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান এবং তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম-পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধারকাজে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ‘রুস্তম’। ডুবন্ত যানবাহনগুলো উদ্ধার শেষে ফেরি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

গত ২৭ অক্টোবর সকালে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ রো রো ফেরি ‘আমানত শাহ’ পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে আসে। সেখানে ফেরির তলা দিয়ে পানি ঢুকে হঠাৎ কাত হয়ে ডুবে যায়।

এসময় তড়িঘড়ি করে তিনটি ট্রাক নামতে সক্ষম হলেও অন্য যানবাহনগুলো নিয়ে ডুবে যায় ফেরিটি। ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন চার সদস্য ও নৌ মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

রুবেলুর রহমান/এএএইচ/এএসএম