সমর্থকদের নাচ, গান, ঢোল আর বাঁশি বাজানো দেখে মনে হবে যেনো নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তাদের পছন্দের প্রার্থী। কোনো প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন মালা পরে, কেউবা আবার মনোনয়ন জমা দিয়ে সমর্থকদের কাছ থেকে মালা পরছেন। দেখে মনে হবে যেনো নির্বাচন শেষে ‘জয়ের মালা’ পরছেন তারা।
এমন দৃশ্যই দেখা গেছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। নিজের জনপ্রিয়তা দেখাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী থেকে শুরু করে ইউপি সদস্য প্রার্থীর অনেকেই গলায় ফুলের মালা পরে সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। এতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৩০ জন এবং ইউপি সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৪০০ জনের মতো।
সোমবার (১ নভেম্বর) সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার আট ইউনিয়নের প্রার্থীরা ট্রাক, বাস ও মোটরসাইকেলের শোডাউন দিয়ে মিছিল নিয়ে আসছেন মনোনয়ন জমা দিতে। অনেক প্রার্থীকেই ফুলের মালা পরে রাস্তায় আনন্দ মিছিল করে নির্বাচন কার্যালয়ে আসতে দেখা গেছে।
পশ্চিমবীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, গ্রামের সবার মতামত নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। আমি যখন মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য বের হলাম, তখন গ্রামের সবাই আমাকে মালা পরিয়ে দিয়েছে।
এদিকে প্রার্থীদের মিছিল ও শোডাউনের কারণে যানজটে পড়তে হয় সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীদের।
যানজটে পড়া বিপ্লব আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের করোনা কি শেষ? নির্বাচন আসতেই কি করোনা নির্মূল হয়ে গেলো। নাকি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছেন?
স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াদ মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, নিবার্চন আসছে। এখন প্রার্থীরা অনেক স্বপ্ন দেখাবেন। কিন্তু নিবার্চন শেষ হলেই তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, অনেক প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল সহকারে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হওয়ায় আমেজটা একটু বেশি। সব প্রার্থীকে সতর্ক করে দেবো, যাতে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিপসন আহমেদ/ইউএইচ/এমএস