দেশজুড়ে

আটদিনেও উদ্ধার হয়নি আমানত শাহ

আটদিনেও উদ্ধার করা যায়নি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে কাত হয়ে যাওয়া আমানত শাহ ফেরিটি। বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ ও ‘রুস্তম’ ব্যর্থ হওয়ার পর ফেরিটি উদ্ধারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনুইন এন্টারপ্রাইজকে। তাদের ডুবুরি দল তিনদিন ধরে উদ্ধার-পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছে, ডুবে যাওয়া ফেরিটি পলি আটকে দিন দিন ভারী হচ্ছে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে জেনুইন এন্টারপ্রাইজের ডুবুরি দলকে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার-পূর্ব তৎপরতা চালাতে দেখা যায়। তারা ফেরিটি রশি দিয়ে বিভিন্ন পাশ থেকে বাঁধছে। ফেরির নিচের পলি অপসারণসহ নানা কাজ করছেন।

সেখানে উপস্থিত ডুবুরিরা জানান, সড়কপথে ফেরি উদ্ধারের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি চলে এসেছে। চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রওয়ানা হয়েছে। সেটি আজকের (বুধবার) মধ্যে পাটুরিয়ায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

এর আগে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার কমান্ডার এসএম সানোয়ার হোসেন জানান, ডুবে যাওয়া ফেরিটির ওজন ৪০০ টন। কিন্তু ২৭ তারিখের পর থেকে প্রতিদিন তার ওজন বেড়ে চলছে। কারণ পানির সঙ্গে পলি আসছে। এখন ফেরিটির ওজন ৬০০ টনের বেশি হয়েছে। সেখানে ২৫০ টনের সক্ষমতার জাহাজ দিয়ে উদ্ধার হবে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুর রহিম জানান, ফেরিটি উদ্ধারে জেনুইনকে সহযোগিতা করবে ‘হামজা’ ও ‘রুস্তম’। যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঝামেলায় না পড়তে হয় তাহলে ১০ দিনের মধ্যে ফেরি উদ্ধারের টার্গেট রয়েছে।

বি.এম খোরশেদ/আরএইচ/জেআইএম