দেশজুড়ে

নির্বাচনে জিতে দুধ দিয়ে গোসল যুবদল নেতার, পরে চাইলেন ক্ষমা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভের পর ১০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর আলম। দুধ দিয়ে গোসলের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তিনি এটি ফেসবুক থেকে মুছে দিয়ে উপজেলাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে জয়লাভ করেন আলমগীর আলম। এ জয়ের আনন্দে তিনি শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ১০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেন। পরে ওই ভিডিও ও ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপলোড করলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

১৪ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বাথরুমে যুবদল নেতা আলমগীর আলমকে দুধ দিয়ে গোসল করাচ্ছেন দুই নারী (মা ও চাচি)। তারা তার মাথায় দুই মগ দুধ ঢেলে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুধ দিয়ে গোসল করেছি ঠিক। তবে এরপর ১৪ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেছি। এটা দেখলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘মা ও চাচিরা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন আমি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করলে তারা আমাকে দুধ দিয়ে গোসল করাবেন। তাই ১১ নভেম্বর নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে শুক্রবার দুপুরে তারা ১০ লিটার দুধ দিয়ে আমাকে গোসল করান।’

শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘দুগ্ধস্নানের বিষয়টি বিশ্লেষণ করছি’ শিরোনামে ১৪ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে দুধ দিয়ে গোসল করার বিষয়টি নিয়ে আলমগীর আলম তার ফেসবুকে লেখেন, ‘প্রিয় বন্ধুগণ, আমার আপলোড করা দুধ দিয়ে গোসলের ভিডিও নিয়ে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন এবং আমি অনুধাবন করতে পেরেছি এই ব্যাপারটি অনেকেই ইতিবাচকভাবে নিতে পারেননি। যেহেতু আনন্দঘন মুহূর্তে আবেগের বশবর্তী হয়ে ভালোমন্দ বিচার না করেই নিজের অসাবধানতায় এহেন কাজ করেই ফেলেছি। তাই এর পক্ষে আর কোনো যুক্তি উপস্থাপন না করেই আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। ইতিমধ্যে আমি ভিডিওটি মুছে ফেলেছি।’

উপজেলা যুবদলের এ যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পাথর ব্যবসায়ী মো. আলমগীর আলম পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নে এর আগে দুবার মেম্বার নির্বাচিত হন। এবার চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করলেও তার নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় যুবদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা অংশ নেন। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পাঁচ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

ছামির মাহমুদ/এসআর/জেআইএম