দেশজুড়ে

ঝিনাইদহে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, শয্যা সংকট হাসপাতালে

ঝিনাইদহে ক্রমেই অবনতি হচ্ছে ডায়রিয়া পরিস্থিতি। গত ১৯ দিনে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন ৮৭২ জন। অন্যদিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৩ জন। এ সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২১ নভেম্বর) সকালে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ডায়রিয়া রোগীদের ভিড়। রোগীর তুলনায় বেড সংখ্যা কম থাকায় অনেকে মেঝেতে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। জনবল সঙ্কটের কারণে রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের। তবে পর্যাপ্ত খাবার স্যালইনসহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর স্বজন সাইদুর রহমান জানান, দুইদিন আগে বড়ভাই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে আনলে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করি। এখন কিছুটা ভালো আছে।

হরিনাকুণ্ডু উপজেলা থেকে আশা হাসানুজ্জামান নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, আমাদের পরিবারের তিনজন অসুস্থ হয়েছে। পরশু রাতে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখনো সুস্থ হননি। কয়দিন থাকা লাগবে তা বলতে পারছি না।

শহরের কাঞ্চননগর এলাকার নারগিস নামের এক রোগী বলেন, হঠাৎ করে আমার ছেলের পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এর আমার স্বামী ও আমার হয়েছে। কিসের জন্য হলো তা বলতে পারছি না। আমরা তো বাইরের খাবারও খাই না।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জাকির হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত ডায়রিয়া সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সংক্রমণের সঠিক কারণ জেনে চিকিৎসা প্রদান ও রোগ নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হবে।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএইচ/জিকেএস