প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ঘটনায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল কারাগারে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) জেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তিনি। এ সময় আদালতের বিচারক শেখ আনিসুজ্জামান আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রফিকুল ইসলাম ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২১আগস্ট রাতে বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে ২২ আগস্ট আদালতে সোপর্দ করে রাজাপুর থানা পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ঝালকাঠি কারাগার থেকে মুক্তি পান জামাল। উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, উচ্চ আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা জারি করেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আদালতে হাজির হন। এ সময় বিএনপিপন্থী অনেক আইনজীবী তার জামিন আবেদন করে শুনানিতে অংশ নেন।
ঝালকাঠি আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবদুস সত্তার জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি নেতা জামাল আদালতে হাজির হলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করে শুনানিতে অংশ নেন। বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রফিকুল ইসলাম জামাল ৪ জুলাই রাত ১০টা ৩১ মিনিটে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জড়িয়ে একটি পোস্ট দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ জুলাই রাজাপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাজাপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাব্বির খান। পোস্টটি বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করার শামিল বলে মামলায় উল্লেখ করেন বাদী সাব্বির খান।
আতিকুর রহমান/এসজে/এমএস