দেশজুড়ে

‘লুটপাট থেকে বাঁচতে’ প্রবাসী প্রার্থীতে আস্থা ভোটারদের

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের রাজনগরে ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ প্রবাসী। প্রবাসী অধ্যুষিত রাজনগরে এসব প্রবাসী প্রার্থীদের উৎসাহও দিচ্ছেন ভোটাররা।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২নং উত্তরভাগ ইউনিয়নে আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ এস মিয়া, ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের রাহেল হোসেন, ৪নং পাঁচগাও ইউনিয়নে লন্ডন প্রবাসী জহিরুল বাচ্চু ইসলাম, ৫নং রাজনগর সদর ইউনিয়নে শিপলু আহমেদ, ৬নং টেংরা ইউনিয়নে আমেরিকা প্রবাসী আরজান খান ও ৮নং মনসুরনগর ইউনয়নে লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া প্রার্থী হয়েছেন।

প্রবাসীরা দীর্ঘদিন প্রবাসে ব্যবসা করে অনেকটা হতাশায় পড়েন। দেশের মাটি আর মানুষের কথা মনে করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি হওয়ার আশায় দেশে ফেরেন। ইতোমধ্যে লন্ডন প্রবাসী মো. শাজাহান খান রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রবাসীদের দেয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষায় মেতে সাধারণ ভোটাররাও তাদের সঙ্গে ছুটে বেড়াচ্ছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।

সচেতন ভোটাররা মনে করেন, স্থানীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। প্রবাসী প্রার্থী নির্বাচিত হলে লুটপাটের আশ্রয় নেবেন না। এলাকার ব্যপক উন্নয়ন হবে। রাজনগর উপজেলা সদরের জাকির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রবাসীরা প্রচুর টাকা খরচ করে নিজের সুনামের জন্য প্রার্থী হন।

৬নং টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমেরিকা প্রবাসী আরজান খান জাগো নিউজকে বলেন, এলাকায় একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করে মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছি। এখন আরেকটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। টেংরা ইউনিয়নে একটি হাসপাতাল করার ইচ্ছা রয়েছে। আর এই কাজ করতে হলে একটি দায়িত্বশীল অবস্থানে থাকতে হয়। এ কারণে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি।

৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী রাহেল হোসেন বলেন, দেশে ১৬ মাস অবস্থানের পর দেখতে পেলাম এলাকার তরুণ ও যুবকরা ব্যাপক হারে মাদকাসক্ত হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত ভূমিকা নিতে হলে ক্ষমতার দরকার। তাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। বাকিরাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মনোভাব নিয়েই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

রাজনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমদাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, রাজনগরে ৬ জন প্রবাসী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আইনি কোনো বাধা না থাকায় তারা নির্বচনে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন।

আব্দুল আজিজ/এফএ/এএসএম