দেশজুড়ে

‘সাগর কন্যা’য় বছরের শেষ সূর্যাস্ত দর্শন

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর শেষ হচ্ছে ২০২১। পদার্পণ হবে ২০২২ সালের। তাই শেষ দিনের স্মৃতি আঁকড়ে রাখতে ‘সাগর কন্যা’ খ্যাত কুয়াকাটায় ভিড় জমান কয়েক হাজার পর্যটক। উপভোগ করেন শেষ দিনের সূর্যাস্ত।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) একদিকে সাপ্তাহিক ছুটি অন্যদিকে থার্টি-ফার্স্ট উদযাপন উপলক্ষে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার এ সমুদ্র সৈকতের দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে সৈকতে মেতেছেন আনন্দ উল্লাসে।

থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে বড় ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন কুয়াকাটায় না হলেও প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলো তাদের নিজস্ব অতিথিদের জন্য রেখেছেন কিছু অভ্যন্তরীণ আয়োজন। অন্যদিকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা শান্তা বলেন, পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে কুয়াকাটা আসলাম। বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখেছি। বেশ আনন্দ করছে বাচ্চারা। অনেক ভালো লাগছে।

মাদারীপুর থেকে আসা রাতুল বলেন, ২০২১ সালের সূর্যাস্ত ও ২২ সালের সূর্যোদয় কুয়াকাটায় দেখতে আমরা আজকে আসছি। এই জায়গাটা অনেক সুন্দর, পরিবেশটাও অনেক ভালো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাটাও সন্তোষজনক। আরও দুদিন কুয়াকাটায় থাকবো।

হোটেল ওসান ভিউর ব্যবস্থাপক আল-আমিন বলেন, থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে আমাদের হোটেলের পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন আমরা রেখেছি। কিছু রুম অগ্রিম বুকিং হয়েছিল আজকে বাকিগুলো আজকে বুকিং হয়েছে আপাতত কোন রুম খালি নেই।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক। এরই মধ্যে বেশীরভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং আছে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে বলেন, ডিসেম্বর জুড়ে পর্যটকদের চাপ। তাই সার্বিকভাবে আমরা তৎপর আছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে। যাতে পর্যটকরা কোনো হয়রানির স্বীকার না হয়।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/এএসএম