দেশজুড়ে

খুলনা যুবলীগের সম্মেলন: জেলায় চমকের আশা, নগরীতে প্রায় নির্ধারিত

প্রায় দুই দশক পর পর ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুলনা জেলা যুবলীগের সম্মেলন। এছাড়া আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রায় দেড় বছর পর হতে চলেছে খুলনা মহানগর যুবলীগের সম্মেলন।

সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরেছে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যে নগর ও জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, খুলনা নগরীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রায় নিশ্চিত হলেও জেলা নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ। অনেক পোড় খাওয়া নেতারাও চাইছেন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ।

নগর শাখায় দুই পদে মাত্র দু’জন জীবন বৃত্তান্ত জমা দিলেও জেলা সভাপতি হতে ছয় আর সাধারণ সম্পাদকের হতে ১১ জন জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা জানিয়েছেন, খুলনা নগর যুবলীগের সভাপতি পদে সফিকুর রহমান পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

খুলনা জেলা যুবলীগে সভাপতি পদে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়া ছয়জন হলেন, বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অজিত বিশ্বাস, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরাফাত হোসেন পল্টু, সরদার জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন বাবু, চৌধুরী রায়হান ফরীদ, হাদীউজ্জামান হাদী।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়া ১১ জন হলেন, এ বি এম কামরুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. পারভেজ হাওলাদার, মো. মুশফিকুর রহমান সাগর, তসলিম হুসাইন তাজ, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, মো. আবু সাঈদুজ্জামান, মাহফুজুর রহামন সাগর, জলিল তালুকদার, মো. কামরুজ্জামান মোল্লা ও হারুন উর রশিদ।

তিনি আরও বলেন, ২২ জানুয়ারি খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত চাওয়া হয়। পদ প্রত্যাশীরা জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবন বৃত্তান্ত জমা দেয়ার পর প্রার্থীরা ছুটছেন একটি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যদের আশীর্বাদ নিতে। শুধু তাই নয়, জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তারা।

আলমগীর হান্নান/এএইচ/এমএস