১৮ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে সাকিবের ফরচুন বরিশালের সঙ্গী হবে কে? কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, নাকি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স? এ কৌতুহলি প্রশ্নর উত্তর মিলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার।
বুধবার পড়ন্ত বিকেল সাড়ে ৫টায় কোয়ালিফায়ার-২‘এ মুখোমুখি হবে আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল আর নাসুম আহমেদের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, ফাফ ডু প্লেসি, মইন আলি, সুনিল নারিন, মোস্তাফিজের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এর আগে সোমবার প্রথম এলিমিনেটরে মুশফিকের খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার-এ পা রেখেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
প্রথম কোয়ালিফায়ার-এ ফরচুন বরিশালের সাথে পেরে না উঠলেও কাগজে কলমে টিম কুমিল্লা কিন্তু মোটেই হেলাফেলার দল নয়। যথেষ্ঠ সমৃদ্ধ, শক্তিশালি। নামি-দামি ও তারকা খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি। ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই দল জেতানো পারফরমার অনেক বেশি।
ফর্মের চুড়ায় থাকা লিটন দাস। সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের তিন সু-প্রতিষ্ঠিত বিদেশী ফাফ ডু প্লেসি, মইন আলি ও সুনিল নারিন। সাথে বাঁ-হাতি পেসার মোস্তাফিজ। যারা সবাই এক একজন ম্যাচ উইনার। এর মধ্যে সুনিল নারিন ছাড়া সবাই ফর্মে আছেন। বাকিরা মোটামুটি ধারাবাহিকভাবে পারফরম করেছেন।
সেখানে চট্টগ্রামের ফরেন রিক্রুট হলেন দুই ক্যারিবীয়ান কেনাল লুইস, চ্যাডউইক ওয়ালটন এবং ইংলিশ ক্রিকেটার বেনি হাওয়েল।
সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ এবং সম্ভাবনাময় পেস বোলিং অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর মত একঝাঁক তরুণ।
এই দলই কিন্তু মুশফিকের খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার-এ উঠে এসেছে। মিডল অর্ডারে ক্যারিবিয়ান ব্যাটার চ্যাডউইক ওয়ালটন (৪৪ বলে ৮৯), ওপেনার কেনাল লুইস (৩৯) এবং মেহেদি হাসান মিরাজের কার্যকর অলরাউন্ড পারফরমেন্সে (৩০ বলে ৩৬ ও ২ উইকেট) কাগজে-কলমে ফেবারিট খুলনাকে হারিয়েছে চট্টগ্রাম।
কাজেই এই দলটিকেও শক্তিতে খাটো করে দেখার উপায় নেই। তবে রাউন্ড রবিন লিগের দুই পর্বে কিন্তু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে দাঁড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শেরে বাংলায় প্রথম সাক্ষাতে ৯ উইকেটে জিতে নেয় কুমিল্লা (ডিএল মেথডে)। চট্টগ্রামে ফিরতি পর্বেও কুমিল্লা পায় ৫২ রানের বড় জয়।
বরিশালের সাথে ১৪৪ রানের টার্গেট ছুঁতে না পারলেও পুরো আসরে কুমিল্লার ব্যাটারদের প্রাধান্য ছিল সুস্পষ্ট। লিটন দাস, ডু প্লেসি এবং মইন আলির একজন জ্বলে উঠে ম্যাচ ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন।
তবে তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে কেনাল লুইস, ওয়ালটন, বেনি হাওয়েল এবং মিরাজরা খুব পিছিয়ে থাকবেন, সেটাও বলা যাবে না। যদিও তাদের আটকাতে এক মোস্তাফিজই যথেষ্ঠ। ¯
স্লোয়ার, কাটার আর বাঁ-হাতি কৌনিক ডেলিভারি ছুঁড়ে মোস্তাফিজ এবারের বিপিএলে প্রায় ম্যাচেই সফল হয়েছেন। অন্যদিকে চট্টগ্রামের ৪ তরুণ বোলার শরিফুল-মৃত্যুঞ্জয় আর স্পিনার মিরাজ-নাসুমও কিন্ত কম না। এখন দেখা যাক ফাইনাল ওঠার ম্যাচে জ্বলে ওঠেন কারা?
এআরবি/আইএইচএস/এএসএম