জাতীয়

‘বাংলার পাশাপাশি অরক্ষিত ভাষার সংরক্ষণ দরকার’

বাংলার পাশাপাশি বিলুপ্তপ্রায় ও অরক্ষিত ভাষার সংরক্ষণ দরকার। এ জন্য প্রাথমিক পর্যন্ত যে ছয়টি অরক্ষিত ভাষার বই চালু করার কথা রয়েছে তা বাস্তবায়ন ও মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভাষাগুলো সংরক্ষণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করে বৃহত্তম পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রভাত ফেরিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে এ কথাই বলেন সংগঠনটির সভাপতি সুনয়ন চাকমা।

সুনয়ন চাকমা বলেন, আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙালি জাতির জন্য অনেক বড় অর্জন। বিশ্বে ভাষার জন্য কোনো জাতি জীবন দিয়ে থাকলে সেটি একমাত্র বাঙালি জাতি। তাই বাংলার পাশাপাশি বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ও অরক্ষিত যত ভাষা রয়েছে সেগুলো যেন বিকাশ হতে পারে। সেইসঙ্গে এসব ভাষার সংরক্ষণ দরকার।

তিনি বলেন, একুশের চেতনা কেবল বাংলাকে নয়, এর পাশাপাশি সেসব মাতৃভাষা রয়েছে সেগুলোর বিকাশে ভূমিকা রাখা। মাতৃভাষায় যাতে প্রাথমিক পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার কথা থাকলেও সেটি এখনো হয়নি। ছয়টি ভাষায় এটা চালু হওয়ার কথা ছিল।

সুনয়ন বলেন, আজকের এ দিনে আমি সবাইকে আহ্বান জানাবো বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য মাতৃভাষার বিকাশেও ভূমিকা রাখবে।

এসময় সংগঠনের পক্ষ কেবল পাঁচটি ভাষা নয়, সব জাতিসত্তার মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষালাভের অধিকারসহ শিক্ষাসংক্রান্ত পাঁচ দফা বাস্তবায়ক করার দাবি জানানো হয়।

আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও মহান ভাষাশহীদ দিবস। জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ভাষাশহীদদের স্মরণে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হবে।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালে মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

আরএসএম/এমএএইচ/জেআইএম