দেশজুড়ে

একুশে ফেব্রুয়ারিতে ২১ কিলোমিটার ম্যারাথন

মানিকগঞ্জে মহান একুশ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শহিদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সবুজে বাঁচি, প্রাণবিক পৃথিবী গড়ি' এই প্রতিপাদ্যে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভেরে এ ম্যারাথনের আয়োজন করে পরিবেশ সংগঠন ‘হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গ।

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হওয়া হাফ ম্যারাথন শেষ হয় মানিকগঞ্জ জেলা শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে।

ভোর ৬টায় ম্যারাথনে অংশ নিতে দূরদূরান্ত থেকে উপজেলা চত্বরে জড়ো হন আগ্রহীরা। ম্যারাথনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গের সংগঠক তৈয়বুল আজহারের সঞ্চালনায় অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন সংগঠনের সমন্বয়ক ওয়াহিদুর রহমান, মুখপাত্র পলাশ সূত্রধর, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রণব পাল। এসময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত জাহাঙ্গীর রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আব্দুর রব উপস্থিত ছিলেন। তিনটি বিভাগে এ হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। একটি ২১ কিলোমিটার। একটি চৌদ্দ কিলোমিটার। অন্যটি সাত কিলোমিটারের।

ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ২১ ফেব্রুয়ারিতে ২১ কিলোমিটার ম্যারাথন, আয়োজনটি সত্যিই ব্যতীক্রম। আরও ভালো লাগছে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সবুজ পৃথিবী গড়তে প্রচারণায় অংশ নিতে পেরে।

হাফ ম্যারাথন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রণব পাল ও সদস্য সচিব মাহিদুল ইসলাম মাহি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলার শতাধিক পুরুষ ও নারী এতে অংশ নিয়েছেন। সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য দৌড় খুবই উপকারি। সবার মধ্যে দৌড়ের আগ্রহ সৃষ্টি করতে চাই। হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গের সমন্বয়ক ওয়াহিদুর রহমান ও মুখপাত্র পলাশ সূত্রধর বলেন, আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য পরিবেশ বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

পরে দুপুরে জেলা শহরের প্রধান শহীদ মিনারের সামনে হাফ ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে মেডেলসহ পুরস্কার বিতণ করা হয়।

পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিন উদ্দিন খান, এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের পরিচালক প্রকৌশলী ড. ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বি এম খোরশেদ/এএইচ/জিকেএস