বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের চাঁদাবাজির কারণেই নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। পণ্য পরিবহনে পদে পদে চাঁদা দিতে হচ্ছে। পরিবহন সংগঠনের নামে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এ চাঁদা আদায় করছে। তার শিকার হচ্ছে দেশের জনগণ।
বুধবার (২ মার্চ) বিকালে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারকে ভোট চোর আখ্যা দিয়ে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির কোনো মাথা ব্যাথা নেই। কারণ নির্বাচন কমিশন এবং এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তারা সবাই চোরের সহযোগী। সহযোগী হিসাবে এদেরও চোর বলা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘চোরদের কাছ থেকে ভাগ পাওয়ার জন্য চুরির মালের কিছু অংশ খাওয়ার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল আছে উঁকি ঝুঁকি মারছে। তারাও চোর। এসব চোর একদিকে আর দেশের জনগণ আরেক দিকে। দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। চোর আর চোরের সহযোগীরা একদিকে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার চোর ধরতে হবে।
সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বড় বড় প্রকল্পের নামে সরকারের তহবিল চুরি নয়, চোরেরা ভোটও চুরি করছে। তাই এদের বিতাড়িত করতে হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের মাধ্যমে। এজন্য দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা শহরে অনুমতি না পেয়ে শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে এ সমাবেশ করে জেলা বিএনপি। সমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে পুলিশি বাধারও অভিযোগ করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, আগামীতে কোনো বাধাই আর মানা হবে না। ১৪৪ ধারা হলেও নয়। জনগণের নায্য অধিকার নিয়ে বিএনপি রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রীতার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী হাবীব হাসান রিন্টু, কৃষক দলের সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস.এ জিন্নাহ কবির প্রমুখ।
বি.এম খোরশেদ/এএইচ/এএসএম