খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের ইলেকশন করার সুযোগ নেই জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া যখন রাষ্টীয় ক্ষমতায় ছিলেন তখন এতিমের সম্পদও নিরাপদ ছিল না। এতিমের টাকা তারা দুই মাই-পুত চুরি করে খেয়েছেন। এজন্য তারা দণ্ডিত হয়েছেন। তারা আইনগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
রোববার (২০ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শ্রমিক লীগের এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘খুনি মোশতাক, খুনি জিয়া ভেবেছিল শেখ মুজিবকে হত্যা করলে তার নাম নেওয়ার কেউ থাকবে না। তার নাম-নিশানা মুছে দিতে চেয়েছিল। মহানায়কের প্রতিপক্ষ হিসেবে খলনায়ককে দাঁড় করেছিল। তারা এখন ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ওদের নাম-নিশানা মুছে গেছে।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা এদেশকে ২৯ বছর চালিয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া মিলে ২৯ বছর বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে। আর আওয়ামী লীগ সাড়ে ২১ বছর। তাদের ২৯ বছর সারাদেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি। শেখ হাসিনার আমলে সব সেক্টরেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আর ওদের আমলে উন্নয়ন হয়নি কেন তা জনগণ জানে।’
তিনি বলেন, ‘আজ বাংলার শ্রমজীবী মানুষ ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন। তাদের অধিকার ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে শেখ হাসিনার মাধ্যমে।’
শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব উদ্দিন মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরু, সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেহেদী হাসান/এসআর/জিকেএস