দেশজুড়ে

দিনাজপুরে নতুন খনির সন্ধানে শুরু হচ্ছে ড্রিলিং কার্যক্রম

দিনাজপুরে আরও একটি নতুন খনির অবস্থান নিশ্চিত হতে সম্ভাব্যতা ও যাচাই কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (জিএসবি) কর্মকর্তারা। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর মৌজায় এ কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভূ-গর্ভের অভ্যন্তরে সম্পদের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য কূপ খননের প্রস্তুতি শুরু করেছে দপ্তরের একটি অনুসন্ধানী দল। প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে চালানো হবে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কাজ। আর তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে সেখানে। এখানে লোহার কাঁচামাল আকরিক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন তারা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হয়েছে কুতুবপুর চেয়ারম্যান পাড়ায়। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের যে কোনো দিন খনন কাজ উদ্বোধনের আশা করছেন জিএসবির সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খনন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, জিএসবি’র ডিজি এই কূপ খনন কাজ উদ্বোধন করবেন। তবে এর আগে এ বিষয়ে কোনো কিছু না জানানোর নির্দেশনা আছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রামানিক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের পরিচালক মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসককে দেওয়া একটি চিঠির অনুলিপি পেয়েছি।’

এর আগে গত বছরের ২ এপ্রিল চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়ন কেশবপুর মৌজায় একটি খনির সন্ধানে ড্রিলিং (খনন) কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে প্রায় একমাস কার্যক্রম শেষে তা সমাপ্ত করে চলে যান ভূতত্ত্বের কর্মকর্তারা।

এরও আগে ২০০১ সালে পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ীতে তামার খনি পাওয়ার আশায় কূপ খনন করা হয়েছিল। এবার উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নে নতুন খনির খোঁজ পাওয়ার পর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে নেমেছেন জিএসবি কর্মকর্তারা।

এমদাদুল হক/এসজে/এএসএম