সিলেটে গরু চুরি করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাচ্চু মিয়া (৩২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ধরাধর গ্রামের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বাচ্চু মিয়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডেঙ্গাবন গ্রামের ছুরত আলীর ছেলে। তিনি সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা এলাকায় এরশাদ মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। তিনি একজন চিহ্নিত ডাকাত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার ভোরের দিকে ধরাধরপুর গ্রামের একটি বাড়িতে গোয়ালঘরে হানা দেয় চোরেরা। বাচ্চু মিয়া ও তার সঙ্গীরা ঘরের বাইরের তালা ভেঙে ফেললেও ভেতর দিয়ে খিল আটকানো থাকায় ঘরে প্রবেশ করতে পারেননি। এ বাড়িতে ব্যর্থ হয়ে পাশের বাড়িতে চুরি করতে যায় চোরেরা। কিন্তু কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করলে বাড়ির লোকজন জেগে ওঠেন।
এসময় বাড়ির লোকজন শুনতে পান গোয়ালঘরের পাশে কে যেন জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ঘরের লোকজনের ফোনে আশপাশের লোকজনও ছুটে আসেন। তারা এসে দেখেন কাদামাটি গায়ে লেগে থাকা এক ব্যক্তি (বাচ্চু) মাটিতে পড়ে রয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারকে খবর দেন। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ আসার আগেই বাচ্চু মারা যান। পরে সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘নিহত বাচ্চু একজন চিহ্নিত ডাকাত ছিলেন। মোগলাবাজার থানায় তার নামে ডাকাতি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় চার থেকে সাড়ে চার বছর জেল কেটে চারমাস আগে ছাড়া পান। জেল বের হয়ে ডাকাতদলে ভিড়তে না পেরে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।’
নিহত ব্যক্তির বোনের বরাত দিয়ে ওসি জানান, বাচ্চু মিয়া কারাগারে থাকাকালে আরও দুইবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা আছে। রোববার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ছামির মাহমুদ/এসআর/জেআইএম