সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের এ লীলাভূমি বছরের সবসময়ই কমবেশি পর্যটক থাকে। কিন্তু রমজানের প্রথম দিন থেকেই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সৈকতের সবগুলো পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, রমজানের প্রথম দিন থেকে তৃতীয় দিন পর্যন্ত পর্যটকশূন্য রয়েছে এ সৈকত । পর্যটক না থাকায় সৈকতে থাকা ছাতা, বেঞ্চ গুছিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরাও তাদের স্টলগুলো বন্ধ রেখেছেন পর্যটক না থাকায়। তবে কিছু দোকানি সকালে দোকান খুলে বসলেও সন্ধ্যার আগেই বন্ধ করে দেন।
শুধু শুঁটকি, ছাতা, বেঞ্চ বা ঝিনুক ব্যবসায়ীরাই নয় পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম অনুষঙ্গ হোটেল ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না রুম বুকিং দেওয়ার মতো পর্যটক। তবে তাদের আশা রমজানের প্রথম দিকে পর্যটক না পেলেও শেষের দিকে কিছু পর্যটক পেতে পারেন।
কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার আব্দুর রহিম জাগো নিউজকে জানান, রমজান শুরুর দিন থেকেই পর্যটকশূন্য সৈকত। গত দুই বছর করোনা থাকার কারণে বন্ধ ছিল। এর আগের রমজানে কমবেশি পর্যটক হলেও এবছর পর্যটক নেই।
সৈকতের আচার দোকানি নাসির উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, রমজানের শুরুটা পর্যটকশূন্য হলেও ১০ রমজানের পরে পর্যটকের আগমন ঘটবে এমনটা মনে হচ্ছে। বর্তমানে পর্যটক নেই তাই অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে। কিছু দোকান খুলে আমরা সময় কাটাচ্ছি তবে ইফতারের আগে বন্ধ করে দেই।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিকে পর্যটক তুলনামূলক অনেকটাই কম থাকে বর্তমানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে আমরা ১০-১৫ রমজানে কিছু বুকিং পেয়েছি সঙ্গে সঙ্গে ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় অগ্রিম বুকিং পেতে শুরু করেছি।
'
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটক নেই কিন্তু আমাদের টহল টিম এখনও সৈকতে দায়িত্ব পালন করছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/জিকেএস