বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর পাইলট গার্লস হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আশরাফ হোসাইনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৯ মার্চ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. কামরুন্নাহার প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। হাইকোর্টে জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আশরাফ হোসাইন ২০১৯ সালে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার তাসলিমা আক্তার নামের এক নারীকে অ্যাফিডেভিট (হলফনামা) মূলে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় শিক্ষক আশরাফ তাসলিমার পরিবারকে বলে বিয়ে কাজী অফিসে নিবন্ধন করলে চাকরির ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে। ভুক্তভোগী তাসলিমার পরিবার বিষয়টি বিশ্বাস করে। পরে আশরাফ দীর্ঘদিনেও কাজী অফিসে বিয়ে নিবন্ধন করেননি। তাসলিমার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। একপর্যায়ে আশরাফ কাবিননামা না থাকার সুযোগে অন্যত্র বিয়ে করে তাসলিমাকে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় তাসলিমা বাদী হয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
এরপর আদালত পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পিবিআই ঘটনার সত্যতা পেয়ে ২১ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার আসামি আশরাফ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
জেএ/বিএ/জেআইএম