বর্জ্য ফেলার জন্য ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ শতক জমি কিনেছে নড়াইল পৌরসভা। ইতোমধ্যে সড়ক নির্মাণ ও ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলা শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশ স্বাধীনের পর নড়াইল পৌরসভা গঠিত হলেও বর্জ্য ফেলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থান ছিল না। ২০১৩ সাল থেকে নড়াইল-যশোর আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন নতুন বাস টার্মিনালের প্রবেশ মুখের একটি গর্তে ময়লা ফেলা শুরু হয়। ওই গর্ত ছাপিয়ে টার্মিনাল চত্বর থেকে সড়ক পর্যন্ত ভাগাড়ে পরিণত হয়।
শহরের সবগুলো বাজারের আবর্জনা, ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ময়লা ও বাসাবাড়ি আবর্জনা এখানে ফেলা হয়। এখান দিয়ে নাক চেপে চলতে হয় মানুষকে। দুর্গন্ধে টার্মিনালে আসা যাত্রী, ড্রাইভার, হেলপার ও সংশ্লিষ্টরা টিকতে পারেন না। টার্মিনাল ঘিরে গড়ে ওঠা গাড়ি ও যন্ত্রাংশ মেরামতের ২৪ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নাক-মুখে গামছা বেধে কাজ করতে হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নড়াইল জেলা কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার শওকত বলেন, শহরের প্রবেশ মুখে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নতুন জায়গায় বর্জ্য ফেলা হলে একটি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার প্রতি নজর দিতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা বার্ড-এর চেয়ারম্যান তিতুমীর মল্লিক বলেন, এখানে পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈব সার ও বায়োগ্যাস তৈরি হবে। জ্বালানি তেল উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা জাগো নিউজকে বলেন, বর্জ্য ফেলার জায়গা ক্রয় ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। জায়গা ক্রয়ে সরকারি তহবিল না থাকলেও অনেক কষ্ট করে পৌর পরিষদের সদস্যদের অর্থে প্রাথমিক অবস্থায় এ জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। পরে এখানে আরও জমি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
হাফিজুল নিলু/আরএইচ/জিকেএস