বরগুনার আমতলীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ কে স্কুল এলাকায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহতরা পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) দাদন মিয়া (৪৩), শহীদুল আলম (৪৮), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল উদ্দিন মিয়া (৩৮), সোহরাব (৩৪) ও কনস্টেবল কবির খান (৪০)।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালার উদ্দিন ফকির, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান হিরু, যুব দলের সদস্য ও কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার, মৎস্যজীবী দলের উপজেলা সভাপতি কবির তালুকদারসহ ১৩ জন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘পুলিশ বিনা কারণে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়। লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কার্যালয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশ চিকিৎসাসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে উপজেলা বিএনপি। সমাবেশ শেষে কুয়াকাটা বরিশাল মহাসড়কে মিছিল বের করে যান চলাচলে বিঘ্নের চেষ্টা চালায় তারা।’
ওসি আরও বলেন, ‘বাধা দিলে ক্ষিপ্ত পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসজে/এমএস